Monday, October 19, 2015

Tension Free Life ( Bengali )

মনোচিকিৎসা
 
* সম্যস্যাটা যদি অসম্ভব কিছু একটা না হয়, তবে মানুষ প্রকৃতি বিচার করে নিজের বিচার বুদ্ধি ও অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তার সমাধান করে ফেলেন। সম্যস্যা সমাধানের এটাই স্বাভাবিক উপায়।

* আসলে ক্ষমতার জন্য যুদ্ধ করা নয় বরং ক্ষমতার সুষ্ঠু বটনই শুধু সুখ নিয়ে আসতে পারে।

* মানুষ সুখের পথে অন্তরায় দূর করতে পারেন যদি তিনি সক্রিয়ভাবে চেস্টা করেন। নিস্ক্রিয়তা বা শিথিল উদ্যম অন্তরায় দূর করার পথে কোনো সাহায্য তো করবেই না বরং প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।


* পৃথিবীতে যা ঘটছে তার দ্বারা নিরাশ হয়তো তিনি হতে পারেন। কিন্তু  বিচলিত হয়ে অস্বাভাবিক হবার কোনো কারন নেই। ঘটনাটা কিভাবে একজন মুল্যায়ন করেন সেটাই আসল।

*  ঘটনাটা পর্যালোচনা করে কি উপসংহারে আপনি এসেছেন এবং ঘটনার আপনি নিজেকে কি বলেছেন তার ওপর আপনার আবেগের ও আচরনের স্বাভাবিকতা বা অস্বাভাবিকতা নির্ভর করবে।

*  ঘটে যওয়া ঘটনাটিকে আপনি কিভাবে দেখলেন, কিভাবে বিচার করলেন এবং কি উপসংহারে উপনীত হলেন তার ওপরই আপনার মানসিক শান্তি বা অশান্তির নির্ভর করে।

*  যারা সবসময় সুখ উপভোগের অবান্তর প্রত্যাশা মনেমনে পোষন করেন, জীবনে কোনো ছোটখাট দু:খ দেখলেই তারা বিষাদগ্রহু হয়ে পরেন।

*  নৈরাশ্য জীবনে যে কোনো সময় আসতে পারে, এটা ব্যাখ্যা করে নৈরাশ্য ও বেদনা সহ্য করবার মতো শক্তি অর্জন করতে তাকে সাহায্য করা হয়।

                                                কি করে দুশ্চিমত্মা মুক্ত হবেনঃ

*  দুশ্চিমত্মামুক্ত  হতে হলে সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করতে হবে। বিভিন্ন কাজ নিয়মিতভাবে করে যেতে হবে। আপনি নিস্ক্রিয় হয়ে বসে থাকলে অন্যে আপনাকে দুশ্চিমত্মা মুক্ত করে দিতে পারবে না।

*  হাস্যরস শখের কাজ, বাসত্মব লক্ষ্য, পেশার জন্য পূর্নপ্রস্ত্ততি, সুনিদ্রা-দুশ্চিমত্মামুক্তির উপায়, এবং রিলাকসেশন পদ্ধতি ব্যবহার।

* দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হবার কারনঃ- নিদ্রাহীনতা, অবাসত্মব লক্ষ্য, ধুমপান, অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা।
নিজের দুশ্চিমত্মার কারন বিশ্লেষন করে তা দূর করবার চেষ্ঠ করতে হবে। দুশ্চিন্তা সৃষ্টির ব্যাপারে  নিজের অবদাম মেনে নেয়া কষ্টকর, কিন্তু তা ভবিষ্যতের জন্য উপকারে লাগবে।

* হ্যানসন একটি মূল্যবান উপদেশ দিয়েছেন, যেসব ঘটনাকে আমরা নিয়ন্ত্রন করতে পারি না, সেগুলোকে আমাদের অবজ্ঞা করতে শিখতে হবে। যে ঘটনাগুলো আমাদের আওতার ভিতর সেগুলোকে নিয়ন্ত্রন করতে শিখতে হবে, যে ঘটনাগুলি আমাদের দুশ্চিমত্মার কারন তাদের প্রায় সবগুলিই আমাদের নিয়ন্ত্রনের গন্ডির ভেতর রয়েছে।



                                        রিলাক্স সেশনের কয়েকটি বিশেষ পদ্ধতি

*  নাসিকার দ্বারা বুকের ও পেটের মাংসপেশী ব্যবহার করে প্রায় ৩ সেকেন্ড ধরে নিঃশ্বাস গ্রহন করে কিছুক্ষণ ধরে রেখে তারপর ৩ সেকেন্ড ধরে ছেরে দেয়া উচিত। প্রতিদিন মিনিট দশেক এভাবে নিঃশ্বাস নেয়া ও ছাড়া অভ্যাস করলে ভাল হয়।

*  প্রথমে হাতের কথা ধরা যাক । জোরে হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করম্নন। তারপর আপনার হাতের নিচের অংশ আসেত্ম আসেত্ম ভাজঁ করে ওপরের দিকে তুলুন। হাতের  নিচের অংশ ওপরের অংশের সাঙ্গে লেগে গেলে আপনার কনুইটি আসেত্ম আসেত্ম ওপরের দিকে তুলুন।দেখবেন আপনার মাংসপেশীগুলো বেশ শক্ত হয়ে গেছে। একটা গভীর নিঃশ্বাস নিন। এরপর নিঃশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাতের মাংসপেশীগুলোকে আলগা করে দিন। হাতকে আগের জায়গায় নিয়ে আসুন। দেখবেন  এখন হাতটাতে বেশ আরাম পাওয়া যাচ্ছে।

*  প্রথমে ঘাড়ের ব্যায়ামের কথা ধরা যাক সোজাহয়ে দাড়িয়ে আপনার থুতনিটিকে আসেত্ম আসেত্ম গলার দিকে নিয়ে আসুন। আপনার ঘাড়ের পেছনদিকে মাংসপেশীতে টানলাগবে প্রথম দিকে। এভাবে কিছুক্ষণ থাকবার পর মাথা আসেত্ম আসেত্ম পেছনের নিয়ে যান। অর্থাৎ  থুতনি ওপরের দিকে ওঠাতে শুরম্ন করম্নন। থুতনিটি যতটা সম্ভব উপরে উঠিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করম্নন। তারপর আপনার মুখটিকে স্বাভাবিক জায়গায়  নিয়ে আসুন। এভাবে তিনবার আপনার থুতনিটি ওপরে ও নিচে নিয়ে আসুন। এরপর আপনার মাথা আসেত্ম আসেত্ম পাশের দিকে নামিয়ে আপনার কাঁধে রাখবার চেষ্টা করম্নন। দেখবেন যেদিকে আপনার মাথা রাখবার চেষ্টা করছেন তার উল্টো দিকের ঘারের মাংস পেশীতে টান লাগছে। এ মাংসপেশীগুলো আসেত্ম আসেত্ম শিথিল হয়ে আসবে যদি আপনি নিয়মিত যোগব্যায়াম করেন। তারপর আপনার মাথা পেছনদিকে ফেরবার চেষ্টা করম্নন। পেছনের দিকে কিছু দেখতে হলে যেভাবে আপনি আপনার মাথা পেছনে ফেরান সেভাবে মাথাটা আসেত্ম আসেত্ম ঘোড়ান। এভাবে কোমরের দিকে আসা যাক, মাথার মত কোমরটাও সামনে-পেছনে ও ডানে- বায়েঁ হেলান। তারপর পা দুটিকে সোজা রেখে শরীরের ওপরের দিকটা পেছনে ঘোরান পায়ের ব্যায়াম আপনি দাড়িয়ে অথবা শুয়ে করতে পারেন।

                                                           ধ্যান বা মেডিটেশনঃ


 মেডিটেশনের উদ্দেশ্য হচ্ছে মনকে সব চিমত্মা থেকে মুক্ত করে একটি বিষয় বা জিনিসের দিকে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করা। মেডিটেশন সর্ম্পকে অনেক বইপত্র আছে তা পড়া দরকার তবে এখানে একটি পদ্ধতি আলোচনা করা হল।

মেডিটেশন করতে একটি নির্দিষ্ট সময়ও একটি নির্দিষ্ট জায়গা বেছে নিন। একটা সুন্দর পরিবেশ মেডিটেশনের ব্যাপারে খুবই সাহায্য করে। আরাম করে সোজা হয়ে বসুন। আপনার কাছ থেকে এক মিটার দূরে একটা জ্বলমত্ম মোমবাতি বা অন্যকোন বস্ত্ত রেখে দিন। মন থেকে সব চিমত্মা দূর করবার চেষ্টা করম্নন । মোমবাতির শিখার দিকে তাকিয়ে থাকুন একদৃষ্টিতে। শিখাটির প্রতি মনোসংযোগ করম্নন। চোখে পানি আসার মতো হলে চোখ দুটি বন্ধ করে দিন , কিন্তু কল্পনার দৃষ্টিতে শিখাটি দেখবার চেষ্টা করম্নন এমনি করে মনকে অন্যসব চিমত্মা থেকে মুক্ত করা সম্ভব। কিন্তু এজন্য অভ্যাস দরকার। প্রথম দিকে সব চিমত্মা আপনার মনে আসতে চাইবে।মেডিটেশন করলে মনে অনাবিল শামিত্ম আসে।
*  আত্মসম্মোহন পদ্ধতির দ্বারা আপনি নিজেকে শাসিত্মদান করতে পারেন। আত্মসম্মোহন অনেকটা মেডিটেশনের মতো । একটা আরামদায়ক চেয়ারে বসে অথবা বিছনায় শুয়ে আপনি আত্মসম্মোহন করতে পরেন। এর অনেক পদ্ধতি রয়েছে। এখানে একটি সহজ পদ্ধতির কথা আলোচনা করব।

*  একটি জিনিসের প্রতি আপনার দৃষ্টি নিবদ্ধ করম্নন। মন থেকে সব চিমত্মা দূর করবার চেষ্টা করম্নন। মনে মনে ১০০ থেকে উল্টোদিকে গুনবার চেষ্টা করম্নন। যখন তাকিয়ে থাকতে অসুবিধা হবে তখন চোখ দুটি বন্ধ করে দিন ।এভাবে কিছুক্ষন বসে অথবা শূয়ে থাকুন । যখন আপনি শেষ করবেন তখন এক থেকে দশ পর্যমত্ম গুনুন ও চোখ দুটিখুলে ফেলুন কিছক্ষনপর উঠে নিজেরে কাজে চলে যান।
লক্ষ্য করুন
                 
*   মানুষের অশান্তি স্থায়ী হবার কারন এই যে, তার কোনো বিশেষ ঘটনা বা তাদের পরিবেশকে তাদের অশামিত্মর কারন বলে মনে করেন। তারা বেঝেন না যে, বরং ঘটনাটি সম্পর্কে তার নিজের উপসংহারই তার অশামিত্মর কারন। এই রম্নপ বিশ্বাসের ফলে তারা তাদের অশামিত্মর কারন দূর করতে পারে না। তারা নিজের উপসংহার ও নিজের বিশ্বাসকে আকরে ধরে থাকেন। অতীত নিয়ে তারা ব্যাসত্ম থাকেন বলে বর্তমান সমস্যার সমাধান করবার তাদের ইচ্ছা থাকে না।

*   অশান্তি দূর না হবার আর একটি কারন হচ্ছে এই যে, মানষিক শামিত্ম অর্জনের জন্য যে সাময়িক মানষিক অশামিত্ম সহ্য করা প্রয়োজন তা অনেকে গ্রহন করতে অনিচ্ছুক, তাই তাদের দুশ্চিন্তা নিয়ে দুশ্চিন্তামগ্নতা থেকে নিজের সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলেন।

*  অনেক আবার এমন সব কাজ করেন যা অন্যের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে যা দেখে তিনি নিজের আগের ভ্রামিত্ম ধারনাকেই দৃঢ়তর করে তোলেন। ক্ষতিকর নেতিবাচক চিন্তা দূর করে রোগীর মনে বাস্তব ও ইতিবাচক চিন্তা সৃষ্টি করতে হবে।

*  মানবিক সমস্যা বা আশা আকাঙক্ষার ওপর সর্গীয় নিয়ন্ত্রন ও প্রভাবের কথা অস্বীকার করেন। নিজের চেষ্টায় মানুষ নিজেকে ঈশ্বরের মত অতিমানব পরিনত করতে পারেন বলে তিনি বিশ্বাস করতে।

*  খুজেঁ পাওয়া আত্মমূল্যায়ন মূল্যবান শক্তি তিনি আরোপ করবেন জীবনের সর্বক্ষেত্রে। অস্তিত্তবাদ আমাদের আত্ম বিশ্লেষন অনুপ্রানিত করে, আত্মবিশেস্নষন আমাদের সাহায্য করে  নিজ শক্তি খুঁজে পেতে। আত্মশক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি।


  •  কাজ বরার আগে সিদ্ধামত্ম নিতে হবে।
  •  যখন একটি কাজ শেষ হবে তখন অন্য কাজে হাত দেওয়ার চিমত্মা করতে হবে।
  •  সময়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে দিলে চলবে না।
  •  নিজেরে ইচ্ছার প্রধান্য দিলে হবে না।
  •  দূষনীয় অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
  •  ভালোমন্দ বিচার করতে হবে।
  •  সর্বক্ষেত্রে বিচার বুদ্ধির ক্রিয়া প্রকাশ করতে হবে।
  • জীবনে যারা প্রতিষ্টা অর্জন করেছেন তাদের শিক্ষাকে সর্বদা মনে স্থান দিতে হবে।
  • হেয়ালিপনার বশবর্তি হয়ে কাজ করা যাবে না। সর্বক্ষেত্রে নিজের ওজন বজায় রাখতে হবে।সঠিক
  •  কাজের মূল্য সর্বক্ষেত্রে দিতে হবে। কোন কাজে অমোনোযোগী হলে চলবে না।
  •  যা সম্ভব নয় এরূপ চিমত্মা নিয়ে মগ্ন থাকলে চলবে না।
  •  উত্তেজনায় অনেক সময় পরিস্থিতি ঘোলাটে হয় এটা মনে রাখতে হবে।
  •  নিজেরে কৃতিত্ব জাহির না করা ।
  •  বেশীকথা বলে কোন অনুষ্টানকে ফেলাটে না করা।
  •  ভদ্রতা জ্ঞান থাকতে হবে। হিংসা-বিদ্ধেষ পরিহার করতে হবে,নম্রতা ও খোশমেজাজী হতে হবে।
  • এরূপ কোন আচরন থাকতে না চরিত্রে যার দ্বারা প্রকাশ পায় চরিত্রের কদর্য রূপ।
  •  প্রতারনা প্রবঞ্চনা কোন কাজে যেন ভুলক্রমে না দেখা দেয়।
  •  ভালবাসা স্নেহ মমতা বোধ সকলের জন্য,এরূপ কথার তাৎপর্য কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হবে।
  •  সুন্দর আদশের প্রতি-দৃষ্টি নিবন্ধ করতে হবে।
  •  অন্যায় আচরন করা থেকে বিরত থাকতে।
  •  নিজের মধ্যে দোষ রেখে অন্যের সমালোচনা করা যাবে না,কোন অন্যায় করলে ক্ষমা প্রথনা করতে হবে।
  •  নিজের স্বার্থের চাইতে অপরের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে।      
  •  
       মিষ্টি ব্যবহার-বড় পুজিঁ, মিষ্টি করে হাসতে হবে, মানুষকে তার নিজের বিষয়ে উৎসাহী করে তুলুন। প্রশাংসা করম্নন লাভবান হবেন, মানুষকে স্বমতে আনার সহজ উপায়, অপরের দোষ খুজঁবেন না, বড় বড় কথায় লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশী, তর্ক করে অপ্রিয় হতে যাবেন না, ঘ্যান ঘ্যান করা ভাল নয়, অনুকরন করবেন না, নাটকীয়তার আশ্রয় নিন, সহানুভুতিশীল হোন জ্ঞান অর্জন করম্নন, ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভা, পৃথিবীতে ব্যক্তিত্ব ছাড়া সুন্দর জীবনযাপন সম্ভব নয়, অহংকারী ব্যক্তিকে কেউ পছন্দ করে না, বাসত্মবকে মেনে নিন, আনন্দে থাকুন, অশামিত্মতে ভুললে রোগ হয়, উদ্বেগহীন জীবন ভাল নয়, মানুষ বড় অকৃতজ্ঞ, স্রষ্টার কাছে নত হোন, আপনি যা ভাবেন তাই হবে, বিশ্রাম নিতেই হবে, ইচ্ছাটাই বড় কথা, দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন, লাভ লোকসানের হিসাব করবেন না, মন জয় করম্নন, কাকে কখন হুকুম করা যেতে পারে, নিজের ভুল আলোচনা করলে ক্ষতি হয়, পুরান ব্যাপারে নতুন করে বলবেন না, ছোটদের সমালোচনা করা ভালো নয়, সততা এবং শ্রম আপনাকে আশ্চর্য ফল দেবে ভাষাকে সংযত করুন, নিজের মাঝে ডুব দিন সুখ পাবেন।    

* মানুষের চালিকা শক্তি তার ডি.এন.এ যা সে জন্ম সূত্রে পেয়ে থাকে আর চারপাশের জগৎ তাকে সামান্যই প্রভাবিত করে।

* জ্ঞানের তীব্র পিপাসা দিয়ে মানুষকে যিনি পাঠিয়েছেন তিনিই আবার জ্ঞানের একটি অংশ মানুষের কাছ থেকে সরিয়ে রেখেছেন।

* আমরা কি করব না করব সবই পূর্ব নির্ধারিত, কি হবে চিমত্মা করে? নিয়তির হাতে সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে আপেক্ষা করাই ভাল।

* তবে যে মানুষ নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে বদ্ধ পরিকর , সব সময় কোথায় পৌছাবেন তিনি সেটা মনেরাখেন। সফল হয়ে আরো বেশী পাওয়ার জন্য ঢের বেশী দিতে রাজী তিনি।

* তাহলে আসুন আমরা আমাদের ইচ্ছাশক্তিকে তৈরী রাখি কঠিন কাজের জন্য। এর একমাত্র পথহল অনুশীলন। আপনার ইচ্ছাকে রোজ কাজে লাগান যতবার পারেন চেষ্টা করেন। কঠিন কোন কাজের চেষ্টা করেন, যে কাজ করতে আপনার আদৌ কোন ইচ্ছা নেই। সুখকে একবার ফিরিয়ে দিন সুখকে আমত্মত একবারের মত ত্যাগ করম্নন। এটাই হল ইচ্ছাসম্বনিত কাজের পথ ,নিয়মিত কাজের পথ সদুদ্দেশ্য প্রনোদিত কাজের পথ।

* আত্মসম্মান ,আত্মজ্ঞান, আত্মনিয়ন্ত্রন এই তিনটিই শুধু মানুষকে সর্বশক্তিমান করে তুলতে পারে।

 আরো একটি বছর বেঁচে থাকার উপায়ঃ-
      ১। হিংসা ভুলে যান
      ২। ঘৃনা পোষন করবেন না
      ৩। বাসত্মববাদী হোন
      ৪। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করম্নন
      ৫। প্রান খুলে হাসুন
      ৬। নিয়ম মেনে চলুন
      ৭। বিশ্রাম নিন
      ৮। টেনশন মুক্ত থাকুন।

বাস্তবতা বাদী হোনঃ অতি প্রত্যাশা সব সময় হতাশায় পরিনত হয়। কখনো অতি প্রত্যাশা করবে না, প্রত্যাশা করার আগে নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হোন, তারপর যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যাশা করম্নন। প্রত্যাশানুযায়ী কোন কিছু না পেলে স্বাভাবিকভাবেই হতাশা এসে মনের মধ্যে ভর করে। কাজেই প্রত্যাশা করার পূর্বে বাস্তবতা চিন্তা করুন। অবাস্তব কোন কিছুর পেছনে ছুটলে জীবন থেকে যেমন মূল্যবান সময় চলে যায় তেমনি জীবনের দৈর্ঘ্য কমে যায়, তাই যা করতে সফল হয়েছেন তার জন্য আনন্দবোধ করুন।

 ১। জীবনে সাফল্য লাভের জন্যে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকতে হবে।
২। জীবনে সাফল্য লাভের জন্যে আত্মসংযমী হতে হবে।
৩। জীবনে সাফল্য লাভের জন্যে ধৈর্য্যশীল হতে হবে।
৪। জীবনে সাফল্য লাভের জন্যে বাসত্মববাদী হতে হবে।
৫। জীবনে সাফল্য লাভের জন্যে বৈষয়িক হতে হবে।
৬। জীবনে সাফল্য লাভের জন্যে অধ্যবসায়ী হতে হবে।
৭। জীবনে সাফল্য লাভের জন্যে পরিতৃপ্ত হতে শিখতে হবে।
৮। জীবনে সাফল্য লাভের জন্যে জঙ্গী মনোভাবের পরিবর্তে কৌশলী হতে হবে।
৯। জীবনে অনেক বাধা অতিক্রম করতে হবে।
১০।জীবনে একক ভাবে লক্ষ্য পথে এগুলেই আপনি বেশি সফল হবেন।



* মানুষের উচিত যাহা দুঃসাধ্য এবং যা সম্ভব নয় তা জানিয়ে এক মূহুর্তও চিমত্মা না করা।
* যে কোন পরাজয় সহজভাবে গ্রহন করম্নন। মনেরাখুন এটিই শেষ সুযোগ নয়। পরবর্তীতে যাতে জয় আপনার করতলগত হয় তার প্রস্ত্ততি নিন।

* স্মরনে রাখুন, প্রতিটি পরাজয় বা ব্যর্থতার আগে জয়ের একটি সুযোগ তৈরি হয় তা কাজে লাগান।

* কখন সামনে এগোতে হবে এবং কখন পেছনে সরে আসতে হবে বুঝতে শিখুন।

* রোমান্টিক আবেগের বিপরীতে ওতঁ পেতে থাকে হতাশার কড়ালগ্রাস। তাই আবেগের বশরর্তী হলেও অমত্মত রোমান্টিক আবেগের বশঃবর্তী হয়েওনা।

* মানুষের কাছ থেকে কম দুঃখ, কষ্ট, ব্যাথা, যন্ত্রশ, আঘাত পেতে হলে। তাদের কাছ থেকে ভালোকিছু কম আশাকরা কেননা মানুষ অকৃতজ্ঞ। বিশ্বাসঘাতক,স্বার্থপর, বেঈমান,মানুষের ক্ষতি মানুষই সবচেয়ে বেশি করে থাকে। তাদের কাছ থেকে সর্বত্র কম পাওয়ার আশাকর। যদি কার কাছ থেকে বেশী পেয়ে যাও। সেটাকে ধরে নিতে হবে বোনাস।

* পৃথিবীটা এমনই এক ক্ষেত্র সেখানে আমত্মরিক ভালোবাসার থেকে মেকী ভালবাসার মানুষ বেশী খুশী হয় তবে কথা হল এটাকি আমার ক্ষেত্রে না সবার ক্ষেত্রে ঘটে তা ঠিক বলতে পারছি না।

* মানুষকে ভালোবাসতে এবং আপন করতে হয় অর্ধেক বুকে এবং অর্ধেক মুখে অভিনয় এবং কিছুটা আমত্মরিকতার সমন্বয়ে।

* মানুষের কাছে নিজের দুবলর্তা বা সত্য কথা, দুবর্ল পয়েন্ট বলতে নেই। তাহলে অন্যের কাছে তুমি তোমার বর্তমান অবস্থান হারিয়ে ফেলবে।

* কোন কিছু গড়ে ধীরগতিতে আর ভাঙ্গে দ্রম্নত গতিতে।

* সব দুভার্গ্য ক্ষতির জন্য আসে না।

* ত্যাগেই সুখ বা সফলতা আসে। ভোগে নয় তাই এই মূহুর্তে সাফলতা অজর্নের একমাএ উপায় হল আপ্রয়োজনীয় ইচ্ছাকে ত্যাগ করা বা প্রধান্য না দেওয়া।

* লোভ ত্যাগ কর ,ধৈর্য্য ধারন বার।
* পৃথিবীতে কোন কিছু জয় করবার প্রধান দুইটি উপাদান হলো বিশ্বাস এবং ইচ্ছা।

* কেহ যদি মনে প্রানে বিশ্বাস করে ইচ্ছা প্রকাশ করে তাহলে সে সেক্ষেত্রে সফল হতে পারে।

* আমরা বেশীর ভাগ সময় প্রয়োজনীয় চিমত্মার বিপরীতে অপ্রয়োজনীয় চিমত্মায় বেশী মসগুল বা মগ্ন থাকি।

* আমরা আমাদের বেশীর সুযোগ কাজে লাগাইনা বলে আমরা উন্নতি করতে পারি না।

* সুযোগ হাত ছাড়া করতে নাই কেননা বাকীর নাম ফাঁকি। কাল করব বলে কোন কিছু রেখে দিলে তা কালেই খেয়ে যায়।

* মানুষ বেশীর ভাগ সময় নিজের কষ্ঠ নিজে সৃষ্টি করে।

* মানুষের জীবন কখনো কখনো নাটকের থেকেও নাটকীয়।

* যারা সব সময় চেয়েই পেতে চায় বা চেয়ে পাওয়ার আশায় অপেক্ষাকরে তারা সবচেয়ে বেশী কষ্ট পায়। কেননা কোন কিছু চেয়ে পাওয়ার আশাকরতে নেই। কেননা আমরা পৃথিবীতে বেশীসংখ্যক জিনিস চেয়ে পাই না।

* মানুষের মনে অনেক চাওয়া জাগ্রত হতে পারে। চাইলেই সব চাওয়াকে পাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে নেই। কেননা যোগ্যতার ব্যাপারটি ভেবে দেখে তারপরই চাওয়ার পিছনে ছুটতে হয় এবং চেষ্টা করতে হয়।

* প্রতিশোধ পরায়ন কোন কিছুকে মানবিক এবং আমত্মবিক দৃষ্টিতে না বিচার করে ভুলবুঝে প্রতিশোধ নিলে। তাই কাউকে ভুল না বুঝে আমত্মরিক ভাবে বোঝার চেষ্টা করা হল মানুষত্য এবং তাতে বেশী সমঝোতা বজায় থাকে। আর বোঝার চেষ্টা করার মানেই হল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা। কেননা সবাই যে সবকিছু বুঝবে এবং সবাই যে সবকিছু পারবে পারবে এটা ভাবা বোকার লক্ষন। তাই তো ক্ষমার অপর নাম সমকোন যেটা উভয়দিকে ঘটলে বেশী সমঝোতার সৃষ্টি হয়। ক্ষমা করতে না জানলে অভিমান,ক্ষোভ,প্রতিশোধের সৃষ্টি হয়, তাই যে যত বেশী ক্ষমা করতে জানে। সে তত বেশী মানুষকে বুঝতে পারে বাঝতে জানে।

* আমরা নিয়তির হাতে বন্দী এবং ভাগ্যের কাছে নিরম্নপায় তা জেনেও কেন আমরা ভাগ্যকে সহজভাবে মেনে নিতে পারি না।

* অতীত ভবিষ্যত বলে মানুষের জীবনে কিছুই নেই। বর্তমান হল মানুষের জীবনে সবকিছু। তাই যারা বর্তমান নিয়ে ভাবে বর্তমানকে কাজে লাগায় এবং বর্তমানের সদ্ব্যবহার করে তারাই জীবনে উন্নতি লাভ করে।

* বেঁচে থাকা হল দুঃখ ,কষ্ট, ব্যাথা যন্ত্রনার সাথে সংগ্রাম করা। আর মৃত্যু হল সব কিছু থেকে চিরমুক্তি তারপরও মানুষ বাঁচতে চায় বাঁচার জন্য কত কি-না করে।
* ভাবা ভাবির কিছুই নেই যা হওয়ার কথাছিল হয়েছে। যা হরার কথা তা হবে ভেবে না গেছে পূর্বের কিছু ঠেকানো না যাবে পরবর্তী কিছু ঠেকানো।

* একসময় নিজেকে জ্ঞান আহরনের মাঝে হারিয়ে ফেলেছিলাম জ্ঞানার্জনের কাজে বিকিয়ে দিয়েছিলাম আবার না হয় তাই করব।
* আমার কাছে মনে হয় পৃথিবীর সব কিছু ফিপটি ফিপটি হয় বা থাকে। যেমন একজন মানুষ যতটুকু ভাল হয় আবার ঠিক ততটুকু খারাপ থাকে।একজন মানুষ যতটুকু শামিত্ম ভোগ করে আবার ততটুকু অশামিত্মও ভোগ করে যতটুকু আরাম করে ঠিক ততটুকু কষ্ট করতে হয়। আর যতটুকু পাপ করে ততটুকু শাসিত্ম ভোগ করে। এটাই কি প্রকৃতির নিয়ম ?

* আমরা বেশীভাগ সময় অতীত এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশী ভাবী যা আমাদের কোন উপকারে তো আসে না বরং প্রচুর ক্ষতি করে যে ভাবনাটা আমাদের সবথেকে বেশী দরকার তাহল বর্তমান ভাবনা অথচ আমরা মনের ভুলেও তা করি না।

* পূর্ব পরিকল্পনা করে সময় নষ্ট না করে। যখনকার পরিকল্পনা তখন নিতে শিখি কেননা কোন ঘটনা যে পূর্বপরিকল্পনা মত ঘটবে। তার কোন নিয়শ্চয়তা নেই তাহলে কেন আমি পূর্বপরিকল্পনা করে সময় এবং ব্রেন দুটোরই অপচয় করব।

* মানুষের জীবন ক্ষরস্রোত নদীর মত। পাথরের আঘাতে আঘাতে যেমন নদী সৃষ্টি তেমনি মানুষের বাধ আর আঘাতে আঘাতে পরিপূর্নতা আসে। অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়ে। যা খেয়ে খেয়ে সে জীবনকে বুঝতে শিখে চিনতে শেখে। পাথরের আঘাতে আঘাতে যেমন নদী আকাঁ বাকাঁ হয় তেমনি মানুষের জীবনেও দেখা যায় একটি পথে পা বাড়াল কিন্তু পথটি বন্দ বাধা পেয়ে সে অন্য পথে পা বাড়ায়। একসময় ঠিকই তার পথ পেয়ে যায়। এভাবে মানুষের জীবন সৃষ্টি হয়। নদীতে যেমন ঢেউ উঠে মানুষের জীবনেও তেমনি দুঃখ, কষ্ট, শূন্যতার ঝড় উঠে। সময়ের বিবর্তনে যেমন নদীর ঢেউ থেমে যায়। তেমনি জীবনের ঢেউও থেমে যায়। তাই ঢেউ যখন উঠেছে শান্ত হতে সময়তো লাগবেই।
                              
*এখানে অস্তিত্তবাদ মানে নিরাকারবাদ অর্থাৎ আমরা সবাই বিশ্বাস করি আছে কিন্তু দেখতে পাইনা শুধু আমাদের বিশ্বাস যে আছে এবং আমরা সেটা কঠিন ভাবে মানি। যেমন ঈশ্বর অথবা শয়তান ভুত প্রেত এমন
                                                                                                        Spelling  Editing হচ্ছে...............

1 comment:

  1. Am Sheila Crystal from USA. After being in relationship for seven years,he broke up with me, I did everything possible to bring him back but all was in vain, I wanted him back so much because of the love I have for him, I begged him with everything, I made promises but he refused. I explained my problem to someone online and she suggested that I should rather contact a spell caster that could help me cast a spell to bring him back but I am the type that never believed in spell, I had no choice than to try it, I mailed the Dr ATIAFO, and he told me there was no problem that everything will be okay before three days, that my ex will return to me before three days, he cast the spell and surprisingly in the second day, it was around 4pm. My ex called me, I was so surprised, I answered the call and all he said was that he was so sorry for everything that happened, that he wanted me to return to him, that he loves me so much. I was so happy and went to him, that was how we started living together happily again. Since then, I have made promise that anybody I know that have a relationship problem, I would be of help to such person by reffering him or her to the only real and powerful Dr ATIAFO who helped me with my own problem and who is different from all the fake ones out there. Anybody could need the help of the spell caster, his email (atitafospelltemple@yahoo.com) you can email him if you need his assistance in your relationship or anything.

    ReplyDelete